বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের সবকটি নদনদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তবে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে এখন পর্যন্ত মৌলভীবাজারে বন্যার শঙ্কা নেই। এটা বর্ষার পানি।
মুষলধারে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার কমলগঞ্জ, সদর, রাজনগর, বড়লেখা, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। কমলগঞ্জে পাহাড় ধ্বসের আশংকায় সেখানে বসবাসকারী লোকজনকে সরে যেতে সতকর্তা জারি করেছে প্রশাসন।
আজ শনিবার (১৮ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ডের রিডিং অনুযায়ী মনু, কুশিয়ারা, ধলাই, গোপলা-সহ জেলার সবকটি নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শুক্রবার (১৭ জুন) শহরের টিভি হাসপাতাল সড়ক জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ফাটাবিল, পূর্ব গীর্জাপড়া, আরামবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। মৌলভীবাজার পৌরসভা এবং জেলা প্রশাসনের তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে আজ শনিবার (১৮ জুন) জলাবদ্ধতা নিরসন হয় এবং পানি কমতে শুরু করেছে। টিবি হাসপাতাল সড়ক থেকে পানি নেমে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে- মনু নদীর পানি মৌলভীবাজার শহর সংলগ্ন চাঁদনীঘাট পয়েন্টে আজ সকাল ৯ টার রিডিং অনুযায়ী বিপৎসীমার ১৪৬ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির প্রবণতা বৃদ্ধির দিকে রয়েছে।
কুলাউড়ার মনুব্রিজ পয়েন্টে মনু নদীর পানি ৩৭৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টেও পানি বৃদ্ধির দিকে রয়েছে।
কমলগঞ্জে ধলাই নদীর পানি রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে শেরপুরের কুশিয়ারা পয়েন্টে ৪৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানির প্রবণতা বৃদ্ধির দিকে রয়েছে।
এদিকে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান জানান, এটি বর্ষার বৃষ্টি। উজানে ভারতের ত্রিপুরায় বৃষ্টি হচ্ছেনা। ফলে মৌলভীবাজারে বন্যার আশংকা কম। তবে মৌলভীবাজার জেলার আওতাধীন মনু ও ধলাই নদীর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো মেরামতের কাজ চলছে। এখনো এই দুই নদীর পানি বিপদসীমার অনেক নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে তিনি জানান।